গাজা যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠন নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বে আলোচনা
- By Jamini Roy --
- 08 January, 2025
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ এখনও ফিলিস্তিনিদের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঠেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় যুদ্ধ-পরবর্তী অস্থায়ী শাসন ব্যবস্থা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে গোপন আলোচনা চলছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ শেষে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর গাজায় পুনর্গঠন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং শাসন পরিচালনা সাময়িকভাবে দেখভাল করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই পরিকল্পনায় ইউএই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, যা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদার, এই আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছে। আবুধাবির তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
তবে ইউএই’র আলোচনায় উঠে আসা পরিকল্পনাগুলোর কোনো বিশদ রূপরেখা নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলোকে কোনো সরকার এখনো অনুমোদন করেনি।
একজন ইউএই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে পুনর্গঠন এবং ক্ষমতায়ন, পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে বিশ্বাসযোগ্য রূপরেখা প্রস্তাবিত না হলে সংযুক্ত আরব আমিরাত এ আলোচনায় সম্পৃক্ত হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “গাজায় যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনা সফল করতে এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জরুরি, কিন্তু বর্তমানে এসবের অভাব রয়েছে।”
এদিকে, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি গাজা ইস্যুতে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, “দায়িত্ব গ্রহণের আগে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘ এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের আরও আগে এই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এটি হামাসের জন্য ভালো হবে না। এমনকি কারও জন্যই এটি কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না।”
ফিলিস্তিনের পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইউএই’র শর্ত অনুযায়ী, আলোচনা সফল করার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি ও বিশ্বাসযোগ্য রূপরেখা তৈরি করতে হবে।
এই গোপন আলোচনার ফলাফল গাজার ভবিষ্যৎ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য স্থায়িত্ব বয়ে আনতে পারে। তবে রাজনৈতিক নিষ্পত্তি ছাড়া এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।